Thursday, February 20, 2014

ফেসবুকই খুঁজেছিল তাঁরে

ফেসবুকের  মেহেদী বখতচাকরিই আপনাকে খুঁজবে—পেশাদারি প্রশিক্ষণ বা চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে এমন কথা শোনা যায়। বাংলাদেশের তরুণ মেহেদী বখতের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে। তাঁকে খুঁজে বের করেছে এমন এক প্রতিষ্ঠান, যেখানে কাজ করাটা মেধাবী অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। প্রতিষ্ঠানের নামটা ফেসবুক।
প্রযুক্তির বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান যেমন মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দেয়। এসবের একটি পদ্ধতি হলো, কর্তৃপক্ষই মেধাবী তরুণদের খুঁজে বের করে। এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মেহেদী বখত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়ার সময় দুইবার এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরে বুয়েট থেকে স্নাতক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা-ক্যাম্পিংয়ে (ইউআইইউসি) পড়তে যান। এখান থেকেই নেটওয়ার্কিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ফেসবুকে মেহেদী বখত যোগ দেন ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।

যেভাবে ফেসবুকে
‘পড়াশোনা শেষ করে ২০১১ সালের শেষ দিক থেকেই চাকরি খোঁজা শুরু করি আমি। সে সময় ফেসবুক এতটা বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠেনি। তাই চাকরির জন্য গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফট, লিংকড-ইনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে চেষ্টা করতে থাকি।’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে বলেন মেহেদী। এরই মধ্যে ফেসবুক থেকে একদিন যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। তারা জানতে চায় ফেসবুকে কাজ করতে মেহেদীর আগ্রহ আছে কি না। আগ্রহী হলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। 
মেহেদী বলতে থাকেন, ‘ভেবে দেখলাম, সাক্ষাৎকার দিতে তো সমস্যা নেই। একাধিক পর্বে ফোন-সাক্ষাৎকার দিয়ে শেষে দিলাম “অনসাইট ইন্টারভিউ”।’
দুই সপ্তাহের মধ্যে মেহেদীর ডাক এল ফেসবুক থেকে। সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিলেন ফেসবুকের ‘মেসেজেস’ দলে। ‘চ্যাট প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামেও পরিচিত এ বিভাগ। ফেসবুকের মানবসম্পদ বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিরা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্ব থেকে সন্ধান পান মেহেদীর। মেহেদী বলেন, ‘ফেসবুকের পরে আমার যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ ছিল, সেগুলোর প্রায় সবগুলো থেকেই ভালো পদে চাকরি করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’
বিশ্বখ্যাত দাবাড়ু গ্যারী কাসপারভের সঙ্গে মেহেদী বখতআগাগোড়া মেধাবী
ঢাকায় জন্ম মেহেদী বখতের। মীর্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১১তম এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় হন তিনি। এরপর বুয়েটে কম্পিউটার কৌশল বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন। বাবা অর্থনীতিবিদ জাহিদ বখত বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। ছেলের এমন সফলতার ব্যাপারে তিনি জানান, ‘এটা অভিভাবক হিসেবে বেশ ভালো লাগার খবর। বাংলাদেশি এসব তরুণ বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করার পাশাপাশি দেশের স্বার্থের বিষয়গুলোও দেখছে।’ মা হালিমা জায়েদ গৃহিণী।
মেহেদীর স্ত্রী কারিশমা মুনতাসির বুয়েট থেকে স্নাতক এবং ইউআইআইসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন।

ফেসবুকে আছেন আরও বাংলাদেশিবর্তমানে ফেসবুকে কাজ করে বেশ খুশি মেহেদী। জানালেন, ‘ফেসবুক এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে আমরা যে কাজটি করি, সেটি সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যায়। কাজের পরিবেশও চমৎকার। যাঁদের সঙ্গে কাজ করছি, সেই মেধাবী সহকর্মীদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়।’ 
মেহেদী ছাড়াও বাংলাদেশি আরও চারজন আছেন ফেসবুকে। এঁরা হলেন ফেসবুকের নোটিফিকেশন বিভাগের সফটওয়্যার প্রকৌশলী ইশতিয়াক হোসেন, সার্চ বিভাগের পণ্য ব্যবস্থাপক সাদি খান, ফাইন্যান্সের প্রকিউরমেন্ট অপারেশনস বায়ার বিভাগে সাদিয়া হক এবং প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সফটওয়্যার প্রকৌশলী সামিন জালাল।
মেহেদী জানালেন, ফেসবুক, গুগল, টুইটার, আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠানে কে কোন প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষ, সেটি বড় কথা নয়। বরং প্রাথমিক সমস্যাগুলো সমাধানের যোগ্যতা কার কেমন রয়েছে তাঁর ওপর নির্ভর করে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়। ‘এসব ক্ষেত্রে নতুন যাঁরা আসতে আগ্রহী, তাঁদের গণিত অলিম্পিয়াডের মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া উচিত। এ ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দরকার, যতটা সম্ভব প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা।
যেতে হবে এগিয়ে
ভবিষ্যতে প্রযুক্তি খাতে ব্যবসায় উদ্যোগ শুরু করতে চান মেহেদী বখত। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এখন উন্মুক্ত হয়েছে বিশ্বসেরা সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ। নিজেদের মেধা কাজে লাগিয়ে এভাবেই এগিয়ে যাওয়া যায়।

Monday, February 3, 2014

িকছু কিছু ছোট টিপস (যারা জানেন না তাদের জন্য)



১। আপনার মনিটরের দৃশ্যত অংশের স্ক্রীন ক্যাপচার করুন খুন সহজেই।অনেকেই হয়ত এটা জানেন,কিন্তু যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি এই সহজ টিউন টি।আপনি শুধু KeyBoard এর Ctrl চেপে Print Screen Sys বাটনটি চাপুন।(Ctrl+Print Screen Sys Ra)।এরপর মাইক্রসফট Paint এ গিয়ে শুধু Paste করুন।ব্যাস হয়ে গেল স্ক্রীন ক্যাপচার।এর পর শুধু Save করুন।স্ক্রীন এর যে কোন দৃশ্যত অংশ এভাবে স্ক্রীন ক্যাপচার করতে পারবেন।
২।আনেকগুরলো ফাইল বা ফোল্ডার সিরিয়ালি Rename করুন খুব সহজে। যে সকল ফাইল বা ফোল্ডার সিরিয়ালি Rename করবেন সব গুলোকে প্রথমে সিলেক্ট করুন।এরপর শুধু F2 key চেপে আপনার পছন্দ মত ফোল্ডার নাম লিখুন এরপর Enter চাপুন।দেখুন আপনার সব ফাইল বা ফোল্ডার Rename হয়ে গেছে।এটা শূধূ win xp user দের জন্য।
আবার ো বলছি যে এটা হয়ত অনেকেই জানেন।পুরানো পোস্ট হয়ে থাকলে দুখিত।

মানুষ কে কখনো তার বাইরের আচরণ দেখে যাচাই করবেন না

সত্যি কাহিনী অবলম্বনে- হৃদয় নাড়া দেয়ার মত
গল্প ।

একজন ডাক্তার একটি জরুরী সার্জারির জন্য
তাড়াহুড়ো করে আর
এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে সে । তড়িৎ গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেছে
হাসপাতালে ঢুকেই
সে নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত
করে নিল সার্জারির জন্য
। এরপর সার্জারির ব্লক এ
গিয়ে সে দেখল রোগীর
( একটি ছোট্ট ছেলে )
বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায় , ডাক্তার কে দেখামাত্র
লোকটি চেঁচিয়ে উঠল-...আপনার আসতে এত দেরি লাগে? দায়িত্ববোধ
বলতে কিছু আছে আপনার?
আপনি জানেন আমার
ছেলে এখানে কতটা শোচনীয়
অবস্থায় আছে ???? ডাক্তার
ছোট্ট একটা মুচকি হাসি হেসে বলল-
" আমি দুঃখিত,
আমি হাসপাতাল এ ছিলাম
না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এ তাই খানিক দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজ টা শুরু করি ?" লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- "
ঠাণ্ডা হব? আপনার সন্তান
যদি আজ এখানে থাকতো? আপনার সন্তান যদি জীবন মৃত্যুর মাঝে দাঁড়াইয়া থাকতো, তবে আপনি কি করতেন?
শান্ত হয়ে বসে থাকতেন ??"
ডাক্তার আবার হাসলেন আর বললেন "
আমি বলব পবিত্র গ্রন্থে বলা হয়েছে মাটি থেকে আমাদের সৃষ্টি আর মাটিতেই আমরা মিসে যাব !
ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ
জীবন ডান করতে পারেন
না আপনি আপনার
সন্তানের জন্য
প্রার্থনা করতে থাকুন
আমরা আমাদের সর্বোচ্চ
চেষ্টা টা করব ।"

লোকটি পুনরায় রাগত
স্বরে বলল-
"যখন আপনার
টেনশন না থাকে তখন উপদেশ দেয়া সহজ ই !!"
এরপর ডাক্তার সাহেব
সার্জারির রুম এ চলে গেলো,
২ ঘণ্টার মত লাগলো ,
শেষে হাসি মুখে ডাক্তার
হাসি মুখে বের হয়ে এলেন,
"আলহামদুলিল্লাহ
অপারেশন সফল"
এরপর লোকটির উত্তরের
অপেক্ষা না করেই ডাক্তার
আবার বলে উঠলেন-
"আপনার কোন প্রশ্ন
থাকলে নার্স কে জিজ্ঞেস
করুন ", বলে তিনি চলে গেলেন ।
এরপর লোকটি নার্স কে বললেন-
"ডাক্তার এত ভাব নেন
কেন?
তিনি কি আর কিছুক্ষণ
এখানে দাঁড়াতে পারতেন না?
যাতে আমি ওনাকে আমার
সন্তান এর ব্যাপারে কিছু
জিজ্ঞেস করতাম ।" নার্স
কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন
আর জানালেন- ডাক্তার এর
ছেলে আজ সকালে মারা গেছেন রোড এক্সিডেন্ট এ, তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা থেকে উঠে এসেছেন , এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন- কবর
দিতে ....

‪#‎একজন‬ মানুষ কে কখনো তার বাইরের আচরণ দেখে যাচাই করবেন না, কারণ
আপনি কখনই জানেন
না তিনি কিসের মাঝে আছেন ।

আপনি এই বইটির সকল বিষয় সমন্ধে অবগত না থাকলে কোনদিন ইংরেজী শিখতে পারবেন না। English Grammar For (S.S.C, H.S.C, Varsity Admission, BCS, IELTS)

যাহোক কাজের কথায় আসি, আমি আমার বইটি অত্যন্ত সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি যাতে করে সবাই বুঝতে পারে। এই বইটি English এর Foundation । যে কোন পরিক্ষায় ইংরেজী Grammar বিষয়ক যে ধরনের প্রশ্নই আসুক না কেন তা এই বইটার বিষয়বস্তুর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত।
আমি ব্যপক আলোচনায় না গিয়ে মূল কারনটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। যারা ইংরেজী শিক্ষার গোড়াপওন থেকেই ভাষার technology না বুঝে নিতান্ত মুখস্তের মাধ্যমে ভাষাটিকে রপ্ত করার চেষ্টা চালায়। এটা এক রকম অসম্ভব ব্যাপ্যার। দোষ তাদের নয়। এ রকম উপদেশ বা নির্দেশই তাদেরকে দেয়া হয়। তাছাড়া ভয় দেখিয়ে ইংরেজীর প্রতি একধরনের ভীতিও সৃষ্টি করা হয়। বলা হয়,ইংরেজী অত সহজ নয়, ভাল ছাএ ছাড়া ইংরেজী শেখা সম্ভব নয়, ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপারটি ঠিক এর উল্টো। যাই হোক এ সকল ভয়-ভীতি বা ভুল নির্দেশনার কারনে শিক্ষার কেন্দ্র বিন্দু থেকে ছাএরা দূরে সরে যায় -তাদের ভেতরে ইংরেজীর প্রতি disinterest grow করে। ফলত: Phobia-র সৃষ্টি হয়।
এ সমস্যা দূরীকরনের একমাএ উপায়, ভাষার technology এবং logic বুঝে চর্চা করা।
কোন অযৌক্তিক নিয়মের অবকাশ নেই। I go to school, কিন্তু I go home -‘home’-এর আগে to বসে না বললে চলবে না। কেন বসে না, তা বুঝতে হবে -যুক্তি ভিত্তিক আলোচনায় আসতে হবে। তবেই Phobia দূর হবে।
এছাড়া প্রত্যেক ভাষার মূল উপাদান হচ্ছে ঐ ভাষার শব্দ সম্ভার বা Vocabulary ।
Vocabulary জানতে হবে, একথা বলা বাহুল্য। বরং যার stock of words যত সমৃদ্ধ, ভাষায় তার দখল তত বেশী। শব্দের nature বা প্রকৃতি বুঝে সঠিক ব্যবহারের দক্ষতাই ভাষায় দখল। এক্ষেত্রে মূলত: Parts of speech সম্বদ্ধে সম্যক ধারনা নিতে পারলেই Grammar -এর ৫০% শেখা সম্পন্ন বলে আমি মনে করি। কিন্তু সত্যটি হচ্ছে আমাদের শিক্ষাথীদের ৯০% Parts of speech বুঝে না। যাই হোক আমার আহবান:
Þ    Learn Vocabulary
Þ    Know Grammar and Technology
Þ    And Practice to Win English
 বইটার প্রতিটি পৃষ্ঠা আলাদা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।




ল্যাপটপ কেনার গাইড ( যারা ল্যাপটপ কিনবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য দারুন টিপস)





ডেক্সটপ বনাম ল্যাপটপঃ
কম্পিউটার কেনার আগে দেখতে হবে কম্পিউটার কি কাজে ব্যবহার করবেন। ইন্টারনেট ব্রাওজিং, মুভি দেখা গান শোনা এসব কাজে সাধারণ কম্পিউটার যথেষ্ট। তবে গান ভালভাবে শোনার জন্য ভালো মানের সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন পড়বে। নানা ধরনের গান মুভি ভিডিও ইত্যাদি জমিয়ে রাখার শখ হলে আপনার প্রয়োজন বেশি ধারণক্ষমতা আছে এমন হার্ডডিস্ক। আর আপনি যদি গেমার হন তাহলে আপনাকে কিনতে হবে হাই কনফিগারেশনের পিসি। এভাবেই প্রয়োজন মত বেছে নিতে হবে কোন কম্পিউটারটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এতো গেলো ডেক্সটপ পিসি কেনার কথা।
এবার আসা যাক ল্যাপটপ পিসি কেনার কথায়। বেশিরভাগ ইউজারই এখন ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান। কিন্তু ল্যাপটপ কিনবেন না ডেক্সটপ কিনবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। কিভাবে ভুজবেন আপনার ল্যাপটপ কেনা উচিত কিনা?
১। আপনি কি ভ্রমনপ্রিয় বা নানাধরনের কাজে বেশিরভাগ সময় বাইরে কাঠান।?
২। ঘরে বেশিক্ষণ কম্পিউটার এ কাজ করার সময় পান না?
৩। ঘরে বা অফিসের ডেস্কে জায়গা কম?
৪। ইচ্ছেমত ঘরের যেকোন জায়গায় বসে কম্পিউটিং করতে চান?
৫। এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা চরম?
এসবের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার জন্য ল্যাপটপ পিসিই প্রয়োজন।
ল্যাপটপের সুবিধা অসুবিধাঃ
সব কিছুরই ভালো ও মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। প্রথমে অসুবিধার কথাই বলা যাক।
স্থায়িত্বঃ ল্যাপটপ বহনযোগ্য বলে বেশি নাড়াছড়া করা হয় এতে এর কোন যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে গেলে তা তা পাওয়া যায়না। আর গেলে ও তা বেশ বায়বহুল।
কার্যক্ষমতাঃ ল্যাপটপ পিসির তুলনায় ডেক্সটপ পিসি বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। ডেক্সটপ পিসির সমান কার্যকরী ল্যাপটপ পিসি বেশ বায়বহুল।
কম্পাবিলিটিঃ মডেল, নির্মাতা, কোম্পানিভেদে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশগুলোর মাঝে বেশ তারতম্য রয়েছে। যেগুলোর একটি আরেকটিকে সাপোর্ট করে না। তাই কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেই যন্ত্রাংশ খুজে পাওয়া বেশ কষ্টকর ও বায়বহুল।
আপগ্রেডঃ ডেক্সটপের যন্ত্রাংশ যখন- তখন আপগ্রেড করা যায়। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা ভীষণ ঝামেলার ব্যাপার। প্রসেসর, মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড করা যায় না। তবে রাম, হার্ডডিস্ক ও অপটিক্যাল ড্রাইভ ইত্যাদি আপগ্রেড করা যায়।
ল্যাপটপ বনাম নোটবুকঃ
ল্যাপটপ কিনবেন না নোটবুক কিনবেন? ল্যাপটপ ও নোটবুক এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অনেকে মনে করতে পারেন দুটোই তো একই জিনিস। আবার অনেকে মনে করতে পারেন নোট আকারের ল্যাপটপগুলোকেই নোটবুক বলে। নোটবুক ল্যাপটপের ছোট ভার্সন। এদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। ল্যাপটপ ও নোটবুক এর পার্থক্য ভালো ভাবে বোঝার জন্য পাঠকদের জন্য তা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
আকারঃ ল্যাপটপের আকার বড় বা মাঝারী হয়। অপরদিকে নোটবুক এর আকার ছোট হয়।
প্রসেসরঃ ল্যাপটপের প্রসেসর ইন্টেল সেলেরন থেকে কোর আই সেভেন হয় অপরদিকে নোটবুক এর প্রসেসর ইন্টেল অ্যাটম, সেলেরন হয়।
হার্ডডিস্কঃ ল্যাপটপের প্রসেসর বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৫৪০০-৭২০০ আরপিএম গতির হার্ডডিস্ক অপরদিকে নোটবুকের কম ক্ষমতার সলিড স্ট্রিট হার্ডডিস্ক।
ডিসপ্লেঃ ল্যাপটপের ডিসপ্লে ১৩-২০ ইঞ্ছি ও নোটবুকের ডিসপ্লে ১৩ ইঞ্ছি এর কম হয়।
গ্রাফিক্স কার্ডঃ এনভিডিয়া বা ইন্টেল চিপ সেটের কার্ড থাকে ল্যাপটপে। আর নোটবুকে সাধারণ উপযোগী নুন্নতম গ্রাফিক্স কার্ড।
ডিস্ক ড্রাইভঃ ডিভিডি রম থাকে আর নোটবুকে থাকে না।
বিদ্যুৎ শক্তিঃ ল্যাপটপে বিদ্যুৎ শক্তি বেশি খরচ হয় আর নোটবুকে খুব কম হয়।
ব্যাটারি লাইফঃ ল্যাপটপে ৩-৮ ঘণ্টা আর নোটবুকে ৩-১২ ঘণ্টা।
ল্যাপটপের প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ঃ
প্রসেসরঃ প্রসেসর হচ্ছে পিসির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অংশ। বাজারে বিদ্যমান ল্যাপটপগুলোর দামের তারতম্য হয় প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে। বেশ কিছু প্রসেসর রয়েছে, যা ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের একেবারে সংযুক্ত করা থাকে। ল্যাপটপ প্রসেসর এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, কম তাপ উৎপাদন করে, আকারে ছোট এবং কার্যক্ষমতা ডেক্সটপ পিসির তুলনায় কম। ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয় এমন প্রসেসর হচ্ছে ইন্টেলের অ্যাটম, সেলেরন, পেন্টিয়াম, ডুয়োল কোর ইত্যাদি সিরিজের প্রসেসর। ল্যাপটপের প্রসেসর নির্বাচনের সময় ক্লক স্পীড, ক্রাশ মেমরি, বাস স্পীড, কোরের সংখ্যা, গ্রেডের সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
হার্ডডিস্কঃ ল্যাপটপে সল্প পরিসরে বসানোর জন্য ২.৫ ইঞ্ছি ফর্ম ফ্যাক্টরের হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয়। এগুলো আকারে ছোট ও হালকা এবং কম গতিসম্পন্ন। তবে বর্তমানে নতুন ল্যাপটপগুলোতে হার্ডডিস্কের বদলে সলিড স্ট্রিট ড্রাইভ তথা এস এস ডি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো হার্ডডিস্ক থেকে অনেক দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে। আকারেও অনেক ছোট। ল্যাপটপ কেনার সময় নুন্নতম ৩২০ গিগাবাইট ও নোটবুক কেনার সময় নুন্নতম ১৫০ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্ক হওয়া প্রয়োজন।
রামঃ
ডেক্সটপে আমরা যে রাম ব্যবহার করে থাকি, ল্যাপটপের রাম গুলো এর প্রায় অর্ধেক। ছোট আকারের এই রামগুলোকে এখন ডিডিয়ার২ ও ডিডিয়ার৩ রামের প্রচলন বেশি। ডিডিয়ার ২ রাম কেনার আগে দেখে নিন এটা সর্বনিম্ন ৬৬৭ মেগা ও ডিডিয়ার৩ রাম সর্বনিম্ন ১০৬৬ মেগা কিনা?
স্পীকারঃ
ল্যাপটপ কেনার আগে এর সাউন্ড কীরকম তা পরীক্ষা করে নিন।
এর সাথে এর কিবোর্ড টাও চেক করে নিন।
গেমিং ল্যাপটপঃ
গেমিং ল্যাপটপের যে সুবিধাগুলো প্রয়োজনঃ কোর টু থেকে কোর সেভেন মানের প্রসেসর, এনভিডিয়া বা এটিআই চিপসেটের ৫১২ মেগাবাইট ১ গিগাবাইট ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স মেমরি, ১৬৬৬-১৩৩৩ বাস স্পীড সম্পন্ন রাম এবং ১৫-১৮ ইঞ্ছি ডিসপ্লে যা উচ্চ রেজুলেশন কাজ করে।
উপরিউক্ত টিপস কাজে লাগালে আপনি অবশ্যই পছন্দের মত ল্যাপটপ/ নোটবুক/ডেক্সটপ পিসি ক্রয় করতে পারবেন।




  ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় ভেবে নেয়া প্রয়োজনঃ
>আপনি কি কাজে ল্যাপটপ কিনবেন সেটা একটি বড় বিষয়। আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের কনফিগারেশন ঠিক করুন। যেমনঃ বেশি মেমোরি প্রয়োজন এমন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার না করলে সাধারন কাজের জন্য কম বাজেটের সেলেরন প্রসেসরের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ঠ। কিন্তু আপনি যদি গেম খেলা বা গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান তাহলে উচ্চ গতি সম্পন্ন হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপই কেনা উচিত। কনফিগারেশন নির্ধারনের ব্যাপারে প্রসেসরের ক্লক স্পিডের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখুন।
>ল্যাপটপ যেহেতু কিছুটা দামী পণ্য তাই এক্ষেত্রে বাজেট বড় একটি বিষয়। এছাড়া বাজারে ল্যাপটপেরর প্রায় সব ব্র্যান্ডই ভালো। তাই ব্র্যান্ডের নামের চেয়ে ল্যাপটপ কেনার আগে দেখুন সাধ্যের মধ্যে কোন মডেলের ল্যাপটপে আপনি ভালো সবচেয়ে কনফিগারেশন পাচ্ছেন।
> ল্যাপটপ কেনার আগে দেখে নেয়া দরকার এর ব্যাটারি কতটুকু সময় ব্যাকআপ দিতে পারে। আপনার যদি আউটডোরে ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাহলে লক্ষ্য রাখুন ব্যাটারির ব্যাকআপ যেন একটু বেশি হয়।
> এখন অনেক জায়গাতেই স্বল্প মূল্যে ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এ ধরনের ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার আগে ভালোভাবে ভাবুন। কারন, সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বিক্রির সময় বিক্রেতারা অনেক ত্রুটির কথা চেপে যান। আর ওয়ারেন্টি না থাকায় এসব ল্যাপটপ কিনে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতেও পারবেন না।
>ল্যাপটপের প্রধান সুবিধা হচ্ছে এটি খুব সহজেই বহন করা যায়। তাই যে ল্যাপটপ কিনবেন তার ওজন কেমন সেটা জেনে নিন। ছোট স্ক্রিনের ল্যাপটপের ওজন সাধারনত কম হয় বলে বহন করা সুবিধাজনক; এসব ল্যাপটপের দামও তূলনামূলকভাবে বেশি। তবে গ্রাফিক্সের কাজ যারা করবেন তাদের জন্য একটু বড় স্কিনের ল্যাপটপ কেনাই ভালো। তবে আউটডোরে বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন হলে কম ওজনের ল্যাপটপ কেনাই ভালো। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কথা হলো-আপনি কেমন স্ক্রিনের ল্যাপটপ ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।
ল্যাপটপ কেনার পরে-
ল্যাপটপ কেনার পর ল্যাপটপ ব্যবহারে বেশ কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।এগুলো হলো-
>ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের উপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। বেশ কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের উপর রেখে টানা অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
>দাম একটু বেশি হলেও ল্যাপটপ বহনে ল্যাপটপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুন। এসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করার জন্য কাঁধে ঝুলানোর সুবিধা যুক্ত (অনেকটা স্কুল ব্যাগের মতো) ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বহনে সুবিধার পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হলো বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না যে আপনি ল্যাপটপ বহন করছেন। তাই ছিনতাইকারীর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
> ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমনঃ ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। প্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির শক্তি খরচ কম হবে।
> ডিসপ্লে সেটিংস থেকে বিভিন্ন অতিরিক্ত ফিচার যেমনঃ ClearType fonts , fade effects ইত্যাদি বন্ধ করে রাখুন। ফলে শক্তি খরচ কিছুটা কম হবে।
> ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোন কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কী-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন। কারন, এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহারে ল্যাপটপের টাচ প্যাড এবং কি-বোর্ডের আয়ু কমে যাবে।
>ঘরে বা বিদ্যুত ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুত ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালান। প্রত্যেকটি ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি আয়ু আছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হবার পর এই ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থাৎ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।
>ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশ কয়েক ঘন্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত।
>ল্যাপটপের এয়ার ভেন্টটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারন এয়ার ভেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবে যা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর
>খাবার ও পানীয় থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখুন। নাহলে অসাবধানতা বশত ল্যাপটপের উপর পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
>ল্যাপটপ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। কারন, হাত থেকে একবার পড়ে গেলেই ল্যাপটপের আয়ু শেষ!

আপনার ল্যাপটপের পরিচর্যার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস




আপনার প্রিয় ল্যাপটপটির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য এর পরিচর্যা করা প্রয়োজন। কোনো কিছু প্রতিকারের চেয়ে তা প্রতিরোধ করা উত্তম। তাই সামান্য অসাবধানতার জন্য আপনার ল্যাপটপের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। সেই জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নিচের স্টেপগুলো মনে রেখে সেই অনুযায়ী কাজ করলে আপনার ল্যাপটপটির স্থায়িত্ব বাড়বে এবং ল্যাপটপ মেরামতের খরচও কমে যাবে। একইসাথে কিছু স্টেপ আপনার ল্যাপটপের গতি বাড়াতেও সাহায্য করবে।
১. যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ ল্যপটপ থেকে দূরে রাখুন
ল্যপটপের আশেপাশে যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ যেমন পানি, চা, কফি, সফট ড্রিংস ইত্যাদি রাখবেন না। এসব পানিয় দ্রব্য পানের সময় অসাবধানতার কারনে যদি ল্যপটপে পড়ে যায় তবে তা আপনার ল্যাপটপের অনেক ক্ষতি করতে পারে। এসব পানিয় দ্রব্য ল্যপটপের অভ্যন্তরীণ ইলেক্ট্রনিক সার্কিটগুলোকে অকেজো করে দিতে পারে। যা মেরামত করা অনেক খরচ সাপেক্ষ।
২. ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন: যে কোনো ডাউনলোডকৃত ফাইলেই ভাইরাস থাকতে পারে যা অনেক ক্ষেত্রে সার্কিটের সমস্যা ও সফটওয়্যার সমস্যার সৃস্টি করতে পারে। এছাড়া অনেক ভাইরাস আপনার ল্যপটপের স্পিড স্লো করে দিতে পারে। তাই অনেকেই স্পিড কমে যাওয়ার ভয়ে ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেনা। তারা দ্রুত একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
৩. খাদ্যদ্রব্য ল্যপটপ থেকে দূরে রাখুন: ল্যপটপ ব্যবহারের সময় খাওয়া দাওয়া করবেন না। খাবারের ছোট ছোট টুকরা বা গুড়া ল্যাপটপের কী-বোর্ডের ফাঁক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এছাড়াও এর মাধ্যমে ল্যাপটপের ওপরের অংশে ময়লার আস্তরন জমতে পারে।
৪. ল্যাপটপ ব্যবহারের আগে হাত পরিষ্কার করে নিন: হাতে জমে থাকা ময়লা আপনার ল্যাপটপের কী-প্যাড ও টাচ প্যাডে ময়লার আবরন তৈরি করতে পারে। এছাড়াও হাত ধুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ঘাম ও ছোট ছোট ধুলাবালির কারনে কীপ্যাডের রং ক্ষয়ও অনেকটা কমানো যাবে।
৫. ল্যাপটপের মনিটরটির যত্ন নিন: ল্যপটপটি বন্ধ করার সময় খেয়াল রাখুন যেন কী-বোর্ডের ওপরে কোনো ছোট বস্তু না থাকে। যে কোনো ছোট জিনিস হলেও তা আপনার এলসিডি স্ক্রিনটিতে দাগ সৃষ্টি করতে পারে। এলসিডি মনিটরটি বন্ধ করার সময় মাঝখানে ধরে বন্ধ করবেন। বারবার শুধু সাইডে ধরে বন্ধ করার ফলে তা বেঁকে যেতে পারে।
৬. ল্যপটপ তোলার সময় এর কেসিং ধরে তুলুন মনিটর ধরে নয়: যদি আপনি ল্যাপটপ তোলার সময় এর মনিটর ধরে তোলেন তাহলে তা স্ক্রিনে দাগ সৃষ্টি করতে পারে এমনকি ডিসপ্লে নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
৭. ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না: ভারি বস্তু যেমন বইপত্র আপনার ল্যাপটপের ওপর রাখবেন না। এর ফলে ল্যপটপের মনিটরের ওপর কী-বোর্ডের চাপ পড়তে পারে। এছাড়াও সিডি-রম এর প্রবেশপথটিও সংকুচিত হয়ে যেতে পারে যার ফলে ড্রাইভটি ভেঙ্গে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
৮. সঠিক মাপের ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন: ল্যপটপের ব্যাগ নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখুন যেন আপনার ল্যাপটপটি সহজেই ভ্যাগটিতে তোলা ও নামানো যায় অর্থ্যাৎ ব্যাগটিকে পর্যাপ্ত বড় হতে হবে। ল্যাপটপ নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করবেন। এতে ল্যাপটপটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
৯. বিছানায় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না: সবসময় বিছানাতেই ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে বিছানার ময়লাগুলো ল্যাপটপের ফ্যানের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। যা ফ্যানটিকে ব্লক করার পাশাপাশি অভ্যন্তরিন যন্ত্রপাতিরও ক্ষতি করতে পারে।
১০. ল্যাপটপ ব্যাগে অতিরিক্ত কিছু নেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন: ল্যাপটপ ব্যাগে ল্যাপটপের সাথে ভারি কিছু নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো ল্যাপটপের কেসিং ভেঙ্গে যাওয়ারও কারন হতে পারে।
১১. পায়ের ওপর রেখে বেশি সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না: এতে ল্যাপটপের ভেতরে গরম হয়ে যেতে পারে যা আপনার ল্যাপটপের আয়ু কমিয়ে দেবে।
১২. হঠাৎ পরিবর্তিত কোনো তাপমাত্রায় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না: আপনি যদি বাইরে থেকে কোনো শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে প্রবেশ করেন তাহলে তখনই আপনার ল্যাপটপটি চালু করবেন না। আগে নতুন তাপমাত্রার সাথে এর অভ্যন্তরিন তাপমাত্রা পরিবর্তিত হতে দিন।
১৩. যে কোনো প্রকার ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে ল্যাপটপটি দূরে রাখুন: বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি হতে সৃষ্ট ম্যাগনেটিক ফিল্ড হতে আপনার ল্যাপটপটি দুরে রাখুন। এসব ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আকর্ষনে আপনার ল্যাপটপের অভ্যন্তরিন ক্ষতি হতে পারে।
১৪. ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন: নরম কাপড় দ্বারা ল্যাপটপের মনিটর পরিষ্কার করুন। একইভাবে নরম কাপড় বা পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে কী-বোর্ড ও অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করতে পারেন।
১৫. ল্যপটপের কোনো অংশ না জেনে খুলতে যাবেন না: ল্যাপটপের কোনো সমস্যা দেখা গেলে কোনো কিছু না জেনে নিজেই ঠিক করতে যাবেন না। এতে অন্য কোনো অংশও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই কোনো সমস্যা দেখা দিলে উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে তা ঠিক করিয়ে নিন। অথবা চলে আসুন মাইসিস আইটি ইন্সটিটিউ সার্ভিস সেন্টার এ।
ল্যাপটপের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে ল্যাপটপের পারফরমেন্সের ভাল হয়।
  • ব্যাটারীতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
  • দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন
  • মাঝে মাঝে ব্যাটারীর কানেক্টর লাইন পরিস্কার করুন।
  • হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারন সিডি/ডিভিডি রম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
  • এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস চলাচল করে এমন ভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
  • সাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
  • ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন
  • ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই নরটন এন্টিভাইরাস না, কারন সিস্টেমকে অনেক স্লো করে।
  • হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ এর মেইনটিনেন্স কোন কাজ করবেন না।
  • ব্যাটারী দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারী থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারী আয়ু  কমে যাবে।
  •  অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
  •  মাঝে মাঝে মেমরী ক্লিনের জন্য Ram Cleaner, Ram Optimizer, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram,
  •  নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
  •  আপাতত দরকার নাই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।



ল্যাপটপের বাটন নষ্ট হলে কি করবেন।


অনেক সময় বিভিন্ন
কারণে ল্যাপটপের কি-বোর্ডের এক
বা একাধিক বাটন নষ্ট হয়ে যায়। তখন
অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, কারও
ই-মেইল
ঠিকানা বা পাসওয়ার্ডে যদি a
থাকে এবং ল্যাপটপের কি-বোর্ডের
a বাটনটি নষ্ট হয়ে যায়,
তা হলে ল্যাপটপের কি-বোর্ড
থেকে a লেখা যায় না। তখন
কম্পিউটারের অন-স্ক্রিণ কি-
বোর্ডটি খুলে কাজ করতে হয়। কিন্তু
এতে অনেক সময় ব্যয় হয় এবং অনেক
বিরক্ত লাগে। অথবা ল্যাপটপের
সাথে আলাদা কি-বোর্ড যুক্ত
করে ব্যবহার করতে হয়।
তবে আপনি চাইলে ছোট
একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব
সহজেই এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি শার্প-কি নামের ছোট
একটি সফটওয়্যার ইনস্টল
করে ল্যাপটপের কি-বোর্ডের বাটন
পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। যেমন
ধরুন, আপনার কি-বোর্ডের a
বাটনটি নষ্ট। আপনি ইচ্ছা করলে কি-
বোর্ডের অন্য
একটি বাটনকে (যেটি সব সময়
কাজে লাগে না বা যে বাটনটি কি-
বোর্ডে একাধিক আছে) a
বাটনে রূপান্তর করতে পারেন। শার্প
কি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে From
key –এ
যে কোনো কি চেপে (যে কি ভালো আছে)
এবং To শুধু নষ্ট কি (নষ্ট কি যদি a হয়
তাহলে a) চেপে ওকে করুন।
তা হলে অন্য কি-টি a কি-
তে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ওই কি-
টি চেপে a লেখা যাবে। মাত্র 475
কিলোবাইটের শার্প-
কি সফটওয়্যারটি।







ল্যাপটপ ভালো রাখার অন্যতম কিছু টিপস


ল্যাপটপ প্রেমিকরাই বেশি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। হতে পারে সেটা শখের কিংবা কাজের বা অন্য কোন প্রকারের। অনেকেই বলেন এমন যে, নতুন ল্যাপটপ কিনলাম কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আমার শখের ল্যাপটপ বা কাজের জিনিসটা সার্ভিসিং ঘরে চলে গেল। আসলে এটা আপনারই ভুল। ল্যাপটপ কখনোই রাফভাবে ব্যবহার করবেন না। কারন এটি কখনোই রাফ ইউজের জন্য নয়। আর আপনার কিছু ছোট খাট ভুলের জন্যই আপনার জিনিসটার অবস্থার অবনতি হয়। তাই কিছু টিপস দিলাম যা আপনি লক্ষ্য করে সেভাবে কাজ করলে আশা করি, আপনার ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন যাবত অনায়াশে ভাল থাকতে সক্ষম।
অনেক সময় এমন ও হতে পারে যে উপরোক্ত কাজগুলো অনুসরন করেও আপনার কোন কাজে আসলো না। সে ক্ষেত্রে সেটা আপনার ল্যাপটপ এর যন্ত্রাংশ বড় কোন সমস্যা থাকতে পারে। আমি শুধু প্রাথমিক ধারনার টিপস্ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, যা আপনার প্রিয় জিনিসটার কিছু হলেও কাজে আসবে। তো আসুন দেখে নেওয়া যাক ট্রিক্সগুলি কি?
যতনে রাখি যন্ত্র:
ঝামেলা ছাড়াই দীর্ঘদিন একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ল্যাপটপে কোনো ত্রুটি ধরা পড়ার পর সেটি মেরামত করতে হবে।তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই এসব সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা:
কম্পিউটারে অবশ্যই একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। হয়তো কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় আপনার জানা আছে, আপনি কী ফাইল নামিয়েছেন, কোন ওয়েবসাইটে গেছেন বা পেনড্রাইভের মাধ্যমে কী ধরনের ফাইল স্থানান্তর করছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের ভাইরাসগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন সেগুলো ব্যবহারকারীর চোখ এড়িয়ে কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে। এই ভাইরাসগুলো কম্পিউটারের সফটওয়্যারগুলো অকার্যকর করে দেওয়া, তথ্য মুছে ফেলাসহ ল্যাপটপটিই ব্যবহারের অনুপযোগী করে তুলতে পারে।
বাতাসের চলাচল:
ল্যাপটপ সব সময়ই এমন জায়গায় ব্যবহার করা উচিত, যেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে এর মানে এই নয় যে, সব সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত স্থান থেকে এটি ব্যবহার করতে হবে।
তরল পদার্থ থাক দূরে:
চা, কফি, পানিসহ সব ধরনের পানীয় ল্যাপটপ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। ল্যাপটপে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ থাকে। তরল পদার্থের সংস্পর্শে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার শর্টসার্কিটের ফলে পুরো ল্যাপটপটিই অচল হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হলো, সব ধরনের তরল পদার্থই দূরে সরিয়ে রাখা।
খাওয়া নয়:
ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে খাওয়া উচিত নয়। অসাবধানতাবশত খাবারের কোনো অংশ ল্যাপটপে পড়ে ময়লা হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া খাবারের ক্ষুদ্র কণা ল্যাপটপের কি-বোর্ডে আটকে থাকলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো কোনোভাবে মূল সার্কিটের সংস্পর্শে এসে শর্টসার্কিট হলে ল্যাপটপের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
পরিষ্কার হাতে ল্যাপটপ:
tech tutorial
ময়লা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অনেক সময় টাচপ্যাড ঠিকভাবে কাজ না-ও করতে পারে। পরিষ্কার হাতে ব্যবহার করলে ধুলো-ময়লা জমা হওয়ার আশংকা কম। দ্রুত ময়লা হয়ে গেলে কিছুদিন পর পরই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশ সময় ব্যয় করতে হবে।
শুধু ডিসপ্লে ধরে সরাবেন না:
স্থানান্তরের সময় ল্যাপটপের মূল অংশ ধরে সরানো উচিত, কখনোই শুধু ডিসপ্লে ধরে সরানো উচিত নয়। সাধারণত ডিসপ্লের ওজনের থেকে মূল অংশ বেশি ভারী হয়ে থাকে। তাই পর্দা ধরে সরানোর চেষ্টা করা হলে এই দুই অংশের সংযোগস্থানটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে।
বছরে একবার সার্ভিসিং:
নির্ভরযোগ্য কম্পিউটার সার্ভিসিং সেন্টার থেকে বছরে অন্তত একবার ল্যাপটপ সার্ভিসিং করানো উচিত। দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ফলে জমে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কারের জন্যই প্রয়োজন এই সার্ভিসিংয়ের। তবে কখনোই নিজে নিজে এই কাজ করা উচিত হবে না।
সিডি-ডিভিডি:
সিডি বা ডিভিডি-রম ডিস্কগুলো ব্যবহারের পর নির্ধারিত স্থানে রেখে দিতে হবে। অসাবধানতাবশত কোথাও ঘষা লেগে বা পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
স্টিকারগুলো পরীক্ষা করা:
ল্যাপটপ ডিস্ক ড্রাইভার ব্যবহারের আগে ডিস্কে লাগানো স্টিকারগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
ল্যাপটপের কভার:
ল্যাপটপ বহন করার জন্য সব সময় অতিরিক্ত একটি কভার ব্যবহার করা উচিত। এটি অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ স্ক্র্যাচ, ধুলো-ময়লা থেকে নিরাপদ রাখবে। আর এটির আকার অবশ্যই ল্যাপটপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার:
ল্যাপটপের পর্দা, কি-বোর্ড এবং এক্সজস্ট ফ্যানের জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি ব্যবহূত পুরোনো টুথব্রাশগুলো দিয়েও ল্যাপটপের বাইরের অংশগুলো পরিষ্কার করা যেতে পারে।
ল্যাপটপের ওপর ভারী কিছু না:
ভাঁজ করে রাখা ল্যাপটপের ওপর, কি-বোর্ডের ওপর ভারী কিছু রাখা উচিত নয়। ল্যাপটপ ভারী কিছু রাখার উপযোগী করে তৈরি করা হয় না। তাই ভারী বই বা অন্য কিছু রাখা হলে ডিসপ্লে, কি-বোর্ড বা অন্যান্য যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে।
পর্দার প্রতি যত্নশীল:
কাজ শেষে ল্যাপটপ বন্ধ করার পর মনিটরটির বা ডিসপ্লে পর্দাটি ভাঁজ করে রাখা উচিত। আবার অনেক সময় সরাসরি পর্দা ভাঁজ করে স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা হয় ল্যাপটপ। এ সময় যেন কি-বোর্ডের ওপর কোনো পেন্সিল, হেডফোন বা অন্য কিছু না থাকে। এসব রেখে বন্ধ করে দেওয়া হলে ডিসপ্লের ক্ষতি হতে পারে।
দ্রুত তাপমাত্রা পরিবর্তন নয়:
হঠাৎ করে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে বাইরের উষ্ণ তাপমাত্রায় স্থানান্তর বা উষ্ণ স্থান থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত তাপমাত্রার স্থানে স্থানান্তর করা উচিত নয়। দ্রুত তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে চলমান ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ও প্রসেসর মানিয়ে নিতে পারে না। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে ল্যাপটপ এবং এর অন্যান্য যন্ত্রাংশের।
বৈদ্যুতিক সংযোগ খুলে ফেলা:
ল্যাপটপ চালু রেখে বৈদ্যুতিক সংযোগ (পাওয়ার কানেকশন) খুলে ফেলা উচিত নয়। বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তারপর সংযোগ খোলা উচিত। আর বৈদ্যুতিক সংযোগটি যদি আপনার পায়ের কাছাকাছি কোথাও থাকে, তাহলে কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
ডিস্ক ড্রাইভার:
ডেস্কটপ ডিস্ক ড্রাইভারগুলো থেকে ল্যাপটপের ডিস্ক ড্রাইভারগুলো আলাদা ধরনের হয়ে থাকে। তাই সিডি/ডিভিডি ডিস্কগুলো ব্যবহার করার সময় বেশিসতর্ক থাকা প্রয়োজন। সঠিকভাবে ব্যবহার না করা বা উল্টোভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে ডিস্ক ড্রাইভারটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তার যেন পেঁচিয়ে না যায়:
ল্যাপটপের বৈদ্যুতিক সংযোগ তারগুলো মেঝেতে ছড়িয়ে রাখা উচিত নয়। তারগুলো চেয়ারে চাপা লেগে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই, এর পাশাপাশি ছড়িয়ে থাকা তারগুলোতে আটকে ব্যবহারকারী নিজে অথবা অপর কেউ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
গাড়িতে ফেলে আসবেন না:
বদ্ধ গাড়ি একটি উচ্চ তাপমাত্রার জায়গা। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপটি সেখানে ফেলে রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া ল্যাপটপ বা ল্যাপটপের ব্যাগ ছিনতাইকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে।
উপরের টিপসগুলো অনুসরন করলে আমি মনে করি আপনার ল্যাপটপটি ভালো মতই চলবে কোন সমস্যা ছাড়া। আপনাদের কাজে আসলে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ভালো থাকবেন সবাই আর আপনাদের ল্যাপটপের বেশি বেশি যত্ন নিবেন!! নইলে ওটা নিয়ে অল টাইম দৌড়ের উপর থাকতে হবে।

জিপি সিম দিয়ে পিসিতে আনলিমিটেড ফ্রি নেট চালান high speed এ। সকল সমস্যার সমাধান সহ ।এইবার ফ্রী নেট চল্বেই চলবে ।

জিপি সিম দিয়ে পিসিতে আনলিমিটেড ফ্রি নেট চালান  high
speed । সকল সমস্যার সমাধান সহ ।এইবার
ফ্রী নেট চল্বেই চলবে ।

আস্সালামু আলাইকুম । কেমন আছেন সবাই । আশা করি ভালো কিন্তু যারা পিসিতে সুপার
স্পিডে ফ্রি নেট চালাতে পারছে না তারা ভালো নেই ।
তাই আজকে আপনাদের জন্য আপডেট পোস্ট নিয়ে এলাম ।
আমার HSC পরিক্ষার জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালো একটা রেজাল্ট
করতে পারি ।

পোস্ট তি সর্বপ্রথম
আমার সাইট

প্রকাশিত হয় ।

প্রথমে মডেম অথবা PC সুইচে নিচের APN দিয়ে নেট
কানেক্ট করুন ।


gpwap
এখন নিচের থেকে Simple Server.zip টা ডাউন লোড করুন ।
Simple
Server.zip

এবার ডেক্সটপে Tipstune নামে
একটা ফোল্ডার তৈরি করুন ।

এখন উপরের সফট টা এক্সাট করে
উক্ত ফোল্ডারের ভেতোরে রাখুন ।

আবারও নিচের থেকে Simple Server config.zip টা ডাউনলোড করুন


Simple server config.zip

এবার এটা এক্সাট করলে একটা ini ফাইল পাবেন
এটা উক্ত Tipstune ফোল্ডারে রাখুন ।

ব্যাস ৭০% কাজ শেষ । এখন আপনি Tipstune ফোল্ডারের ভেতোরের
Simple Server.exe পাবেন । এটা ডবল ক্লিক করে ওপেন কর 3 sec অপেক্ষা করুন । দেখবেন
Ready লেখা এসেছে ।

এখন এটা মিনিমাইজ করুন ।
অনেকেই আছে যারা আগে থেকে এটা চালাই । তাদের জন্য Manual ini টাও দিলাম ।



 

LHOST = ' 127.0.0.1'
IMETHOD = 1
ISPLIT = 0
RHTTP = 0
TIMEOUT = 60
PHOST = ' 10.128.1.2'
RQUERY = ''
RPATH = 0
PTYPE = 0
KEEP = ''
BQUERY = ''
MQUERY = ''
RHTTPS = 1
PPORT = 8080
LPORT = 8080
VALHDR0 = ' 127.8.0.1'
VALHDR1 = ' http://www.google.com.sg'
VALHDR2 = 'close'
VALHDR3 = 'apache'
IQUERY = ' wap.gpworld.co'
ADMODE = 1
CQUERY = ''
CUSHDR2 = ''
CUSHDR3 = ''
CUSHDR0 = 'X-Host'
CUSHDR1 = 'Host'
ILINE = 0
FQUERY = ''
SBUFF = 1024
RPORT = 0
 
Browser setting

মজিলা ওপেন করুন

Tools->Options->advance->network->settings এ যান ।
এখান থেকে Manual proxy তে টিক চিহ্ন দিন এবং HTTP Proxy & port এ নিচের মত সেটিংস
করুন ।



HTTP Proxy: 127.0.0.1
HTTP Port: 8080
 
এবার Use this server for all protocol এ টিক দিন ।
এবার Ok করুন ।

তো ব্রাউজিং তো হলো এখন ডাউনলোড এর সেটিংস দেখে নিন ।

Download Setting
প্রথমে IDM ওপেন করুন এবং Options->proxy তে যান এবং HTTP
& HTTPS প্রক্সিতে টিক চিহ্ন দিন এবং নিচের মত করে সেটিংস করুন ।

HTTP server
 


proxy: 127.0.0.1
port: 8080
 
HTTPS server
 


proxy: 127.0.0.1
port: 8080
 

এবার ওকে করুন ।
আর ছাপিয়ে পড়ুন আনলিমিটেড ফ্রি নেট এর জোয়ারে এ যান ।
কিছু টিপসঃ
       1.যদি ব্রাউজিং সমস্যা
হয় তাহলে সাইটের লিন্কটা যে কোন যায়গায় লিখে কপি করুন এবার Addrase বারে এ ডান বাটন
ক্লিক করে Paste & go করুন ।

        2. আপনি যে কোন
ভাবে ফাইলটা ডাউনলোড লিস্টে এনে Pause করে রাখুন । এরপর এই টিক্সটা দিয়ে Resume
করুন ।

        3. যদি মাঝে
সমস্যা হয় তাহলে তাহলে Simple server কেটে দিয়ে আবারও ওপেন করুন ।

পোস্টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ । কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন ।