আপনার
প্রিয় ল্যাপটপটির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য এর পরিচর্যা করা প্রয়োজন। কোনো
কিছু প্রতিকারের চেয়ে তা প্রতিরোধ করা উত্তম। তাই সামান্য অসাবধানতার জন্য
আপনার ল্যাপটপের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। সেই জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়
মাথায় রাখতে হবে। নিচের স্টেপগুলো মনে রেখে সেই অনুযায়ী কাজ করলে আপনার
ল্যাপটপটির স্থায়িত্ব বাড়বে এবং ল্যাপটপ মেরামতের খরচও কমে যাবে। একইসাথে
কিছু স্টেপ আপনার ল্যাপটপের গতি বাড়াতেও সাহায্য করবে।
১. যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ ল্যপটপ থেকে দূরে রাখুন
ল্যপটপের আশেপাশে যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ যেমন পানি, চা, কফি, সফট
ড্রিংস ইত্যাদি রাখবেন না। এসব পানিয় দ্রব্য পানের সময় অসাবধানতার কারনে
যদি ল্যপটপে পড়ে যায় তবে তা আপনার ল্যাপটপের অনেক ক্ষতি করতে পারে। এসব
পানিয় দ্রব্য ল্যপটপের অভ্যন্তরীণ ইলেক্ট্রনিক সার্কিটগুলোকে অকেজো করে
দিতে পারে। যা মেরামত করা অনেক খরচ সাপেক্ষ।
২. ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন:
যে কোনো ডাউনলোডকৃত ফাইলেই ভাইরাস থাকতে পারে যা অনেক ক্ষেত্রে সার্কিটের
সমস্যা ও সফটওয়্যার সমস্যার সৃস্টি করতে পারে। এছাড়া অনেক ভাইরাস আপনার
ল্যপটপের স্পিড স্লো করে দিতে পারে। তাই অনেকেই স্পিড কমে যাওয়ার ভয়ে
ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেনা। তারা দ্রুত একটি ভালো
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
৩. খাদ্যদ্রব্য ল্যপটপ থেকে দূরে রাখুন:
ল্যপটপ ব্যবহারের সময় খাওয়া দাওয়া করবেন না। খাবারের ছোট ছোট টুকরা বা
গুড়া ল্যাপটপের কী-বোর্ডের ফাঁক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এছাড়াও এর মাধ্যমে
ল্যাপটপের ওপরের অংশে ময়লার আস্তরন জমতে পারে।
৪. ল্যাপটপ ব্যবহারের আগে হাত পরিষ্কার করে নিন:
হাতে জমে থাকা ময়লা আপনার ল্যাপটপের কী-প্যাড ও টাচ প্যাডে ময়লার আবরন
তৈরি করতে পারে। এছাড়াও হাত ধুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ঘাম ও ছোট ছোট
ধুলাবালির কারনে কীপ্যাডের রং ক্ষয়ও অনেকটা কমানো যাবে।
৫. ল্যাপটপের মনিটরটির যত্ন নিন:
ল্যপটপটি বন্ধ করার সময় খেয়াল রাখুন যেন কী-বোর্ডের ওপরে কোনো ছোট বস্তু
না থাকে। যে কোনো ছোট জিনিস হলেও তা আপনার এলসিডি স্ক্রিনটিতে দাগ সৃষ্টি
করতে পারে। এলসিডি মনিটরটি বন্ধ করার সময় মাঝখানে ধরে বন্ধ করবেন। বারবার
শুধু সাইডে ধরে বন্ধ করার ফলে তা বেঁকে যেতে পারে।
৬. ল্যপটপ তোলার সময় এর কেসিং ধরে তুলুন মনিটর ধরে নয়: যদি আপনি ল্যাপটপ তোলার সময় এর মনিটর ধরে তোলেন তাহলে তা স্ক্রিনে দাগ সৃষ্টি করতে পারে এমনকি ডিসপ্লে নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
৭. ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না:
ভারি বস্তু যেমন বইপত্র আপনার ল্যাপটপের ওপর রাখবেন না। এর ফলে ল্যপটপের
মনিটরের ওপর কী-বোর্ডের চাপ পড়তে পারে। এছাড়াও সিডি-রম এর প্রবেশপথটিও
সংকুচিত হয়ে যেতে পারে যার ফলে ড্রাইভটি ভেঙ্গে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
৮. সঠিক মাপের ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন:
ল্যপটপের ব্যাগ নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখুন যেন আপনার ল্যাপটপটি সহজেই
ভ্যাগটিতে তোলা ও নামানো যায় অর্থ্যাৎ ব্যাগটিকে পর্যাপ্ত বড় হতে হবে।
ল্যাপটপ নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করবেন। এতে ল্যাপটপটি
পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
৯. বিছানায় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না:
সবসময় বিছানাতেই ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে বিছানার ময়লাগুলো ল্যাপটপের
ফ্যানের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। যা ফ্যানটিকে ব্লক করার পাশাপাশি
অভ্যন্তরিন যন্ত্রপাতিরও ক্ষতি করতে পারে।
১০. ল্যাপটপ ব্যাগে অতিরিক্ত কিছু নেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন: ল্যাপটপ ব্যাগে ল্যাপটপের সাথে ভারি কিছু নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো ল্যাপটপের কেসিং ভেঙ্গে যাওয়ারও কারন হতে পারে।
১১. পায়ের ওপর রেখে বেশি সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না: এতে ল্যাপটপের ভেতরে গরম হয়ে যেতে পারে যা আপনার ল্যাপটপের আয়ু কমিয়ে দেবে।
১২. হঠাৎ পরিবর্তিত কোনো তাপমাত্রায় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না:
আপনি যদি বাইরে থেকে কোনো শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে প্রবেশ করেন তাহলে তখনই
আপনার ল্যাপটপটি চালু করবেন না। আগে নতুন তাপমাত্রার সাথে এর অভ্যন্তরিন
তাপমাত্রা পরিবর্তিত হতে দিন।
১৩. যে কোনো প্রকার ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে ল্যাপটপটি দূরে রাখুন:
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি হতে সৃষ্ট ম্যাগনেটিক
ফিল্ড হতে আপনার ল্যাপটপটি দুরে রাখুন। এসব ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আকর্ষনে
আপনার ল্যাপটপের অভ্যন্তরিন ক্ষতি হতে পারে।
১৪. ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন:
নরম কাপড় দ্বারা ল্যাপটপের মনিটর পরিষ্কার করুন। একইভাবে নরম কাপড় বা
পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে কী-বোর্ড ও অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করতে পারেন।
১৫. ল্যপটপের কোনো অংশ না জেনে খুলতে যাবেন না:
ল্যাপটপের কোনো সমস্যা দেখা গেলে কোনো কিছু না জেনে নিজেই ঠিক করতে যাবেন
না। এতে অন্য কোনো অংশও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই কোনো সমস্যা দেখা দিলে
উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে তা ঠিক করিয়ে নিন। অথবা চলে আসুন মাইসিস আইটি
ইন্সটিটিউ সার্ভিস সেন্টার এ।
ল্যাপটপের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে ল্যাপটপের পারফরমেন্সের ভাল হয়।
- ব্যাটারীতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
- দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন
- মাঝে মাঝে ব্যাটারীর কানেক্টর লাইন পরিস্কার করুন।
- হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারন সিডি/ডিভিডি রম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
- এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস চলাচল করে এমন ভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
- সাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
- ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন
- ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই নরটন এন্টিভাইরাস না, কারন সিস্টেমকে অনেক স্লো করে।
- হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ এর মেইনটিনেন্স কোন কাজ করবেন না।
- ব্যাটারী দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারী থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারী আয়ু কমে যাবে।
- অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
মাঝে মাঝে মেমরী ক্লিনের জন্য Ram Cleaner, Ram Optimizer, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram,
- নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
- আপাতত দরকার নাই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।
অনেক সময় বিভিন্ন
কারণে ল্যাপটপের কি-বোর্ডের এক
বা একাধিক বাটন নষ্ট হয়ে যায়। তখন
অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, কারও
ই-মেইল
ঠিকানা বা পাসওয়ার্ডে যদি a
থাকে এবং ল্যাপটপের কি-বোর্ডের
a বাটনটি নষ্ট হয়ে যায়,
তা হলে ল্যাপটপের কি-বোর্ড
থেকে a লেখা যায় না। তখন
কম্পিউটারের অন-স্ক্রিণ কি-
বোর্ডটি খুলে কাজ করতে হয়। কিন্তু
এতে অনেক সময় ব্যয় হয় এবং অনেক
বিরক্ত লাগে। অথবা ল্যাপটপের
সাথে আলাদা কি-বোর্ড যুক্ত
করে ব্যবহার করতে হয়।
তবে আপনি চাইলে ছোট
একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব
সহজেই এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি শার্প-কি নামের ছোট
একটি সফটওয়্যার ইনস্টল
করে ল্যাপটপের কি-বোর্ডের বাটন
পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। যেমন
ধরুন, আপনার কি-বোর্ডের a
বাটনটি নষ্ট। আপনি ইচ্ছা করলে কি-
বোর্ডের অন্য
একটি বাটনকে (যেটি সব সময়
কাজে লাগে না বা যে বাটনটি কি-
বোর্ডে একাধিক আছে) a
বাটনে রূপান্তর করতে পারেন। শার্প
কি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে From
key –এ
যে কোনো কি চেপে (যে কি ভালো আছে)
এবং To শুধু নষ্ট কি (নষ্ট কি যদি a হয়
তাহলে a) চেপে ওকে করুন।
তা হলে অন্য কি-টি a কি-
তে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ওই কি-
টি চেপে a লেখা যাবে। মাত্র 475
কিলোবাইটের শার্প-
কি সফটওয়্যারটি।
ল্যাপটপ
প্রেমিকরাই বেশি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। হতে পারে সেটা শখের কিংবা কাজের বা
অন্য কোন প্রকারের। অনেকেই বলেন এমন যে, নতুন ল্যাপটপ কিনলাম কিন্তু
কিছুদিন যেতে না যেতেই আমার শখের ল্যাপটপ বা কাজের জিনিসটা সার্ভিসিং ঘরে
চলে গেল। আসলে এটা আপনারই ভুল। ল্যাপটপ কখনোই রাফভাবে ব্যবহার করবেন না।
কারন এটি কখনোই রাফ ইউজের জন্য নয়। আর আপনার কিছু ছোট খাট ভুলের জন্যই
আপনার জিনিসটার অবস্থার অবনতি হয়। তাই কিছু টিপস দিলাম যা আপনি লক্ষ্য করে
সেভাবে কাজ করলে আশা করি, আপনার ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন যাবত অনায়াশে ভাল থাকতে
সক্ষম।
অনেক সময় এমন ও হতে পারে যে উপরোক্ত কাজগুলো অনুসরন করেও
আপনার কোন কাজে আসলো না। সে ক্ষেত্রে সেটা আপনার ল্যাপটপ এর যন্ত্রাংশ বড়
কোন সমস্যা থাকতে পারে। আমি শুধু প্রাথমিক ধারনার টিপস্ গুলো আপনাদের সাথে
শেয়ার করলাম, যা আপনার প্রিয় জিনিসটার কিছু হলেও কাজে আসবে। তো আসুন দেখে
নেওয়া যাক ট্রিক্সগুলি কি?
যতনে রাখি যন্ত্র:
ঝামেলা
ছাড়াই দীর্ঘদিন একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য নিয়মিত যত্ন নেওয়া
প্রয়োজন। ল্যাপটপে কোনো ত্রুটি ধরা পড়ার পর সেটি মেরামত করতে হবে।তবে আগে
থেকে সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই এসব সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা:
কম্পিউটারে
অবশ্যই একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। হয়তো কম্পিউটার
ব্যবহার করার সময় আপনার জানা আছে, আপনি কী ফাইল নামিয়েছেন, কোন
ওয়েবসাইটে গেছেন বা পেনড্রাইভের মাধ্যমে কী ধরনের ফাইল স্থানান্তর করছেন।
কিন্তু বর্তমান সময়ের ভাইরাসগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন সেগুলো
ব্যবহারকারীর চোখ এড়িয়ে কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে। এই ভাইরাসগুলো
কম্পিউটারের সফটওয়্যারগুলো অকার্যকর করে দেওয়া, তথ্য মুছে ফেলাসহ
ল্যাপটপটিই ব্যবহারের অনুপযোগী করে তুলতে পারে।
বাতাসের চলাচল:
ল্যাপটপ
সব সময়ই এমন জায়গায় ব্যবহার করা উচিত, যেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা
রয়েছে। এর ফলে ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে এর
মানে এই নয় যে, সব সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত স্থান থেকে এটি ব্যবহার করতে
হবে।
তরল পদার্থ থাক দূরে:
চা,
কফি, পানিসহ সব ধরনের পানীয় ল্যাপটপ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। ল্যাপটপে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ থাকে। তরল পদার্থের সংস্পর্শে এগুলো
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার শর্টসার্কিটের ফলে পুরো ল্যাপটপটিই অচল হয়ে
যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হলো, সব ধরনের তরল পদার্থই দূরে সরিয়ে
রাখা।
খাওয়া নয়:
ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে
খাওয়া উচিত নয়। অসাবধানতাবশত খাবারের কোনো অংশ ল্যাপটপে পড়ে ময়লা হয়ে
যেতে পারে। এ ছাড়া খাবারের ক্ষুদ্র কণা ল্যাপটপের কি-বোর্ডে আটকে থাকলে
সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো কোনোভাবে মূল সার্কিটের
সংস্পর্শে এসে শর্টসার্কিট হলে ল্যাপটপের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
পরিষ্কার হাতে ল্যাপটপ:

ময়লা
হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অনেক সময় টাচপ্যাড ঠিকভাবে কাজ না-ও করতে
পারে। পরিষ্কার হাতে ব্যবহার করলে ধুলো-ময়লা জমা হওয়ার আশংকা কম। দ্রুত
ময়লা হয়ে গেলে কিছুদিন পর পরই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশ সময় ব্যয় করতে
হবে।
শুধু ডিসপ্লে ধরে সরাবেন না:
স্থানান্তরের
সময় ল্যাপটপের মূল অংশ ধরে সরানো উচিত, কখনোই শুধু ডিসপ্লে ধরে সরানো
উচিত নয়। সাধারণত ডিসপ্লের ওজনের থেকে মূল অংশ বেশি ভারী হয়ে থাকে। তাই
পর্দা ধরে সরানোর চেষ্টা করা হলে এই দুই অংশের সংযোগস্থানটি ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে।
বছরে একবার সার্ভিসিং:
নির্ভরযোগ্য
কম্পিউটার সার্ভিসিং সেন্টার থেকে বছরে অন্তত একবার ল্যাপটপ সার্ভিসিং
করানো উচিত। দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ফলে জমে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কারের
জন্যই প্রয়োজন এই সার্ভিসিংয়ের। তবে কখনোই নিজে নিজে এই কাজ করা উচিত হবে
না।
সিডি-ডিভিডি:
সিডি বা ডিভিডি-রম
ডিস্কগুলো ব্যবহারের পর নির্ধারিত স্থানে রেখে দিতে হবে। অসাবধানতাবশত
কোথাও ঘষা লেগে বা পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
স্টিকারগুলো পরীক্ষা করা:
ল্যাপটপ ডিস্ক ড্রাইভার ব্যবহারের আগে ডিস্কে লাগানো স্টিকারগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
ল্যাপটপের কভার:
ল্যাপটপ
বহন করার জন্য সব সময় অতিরিক্ত একটি কভার ব্যবহার করা উচিত। এটি অনেক
ক্ষেত্রেই সাধারণ স্ক্র্যাচ, ধুলো-ময়লা থেকে নিরাপদ রাখবে। আর এটির আকার
অবশ্যই ল্যাপটপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার:
ল্যাপটপের
পর্দা, কি-বোর্ড এবং এক্সজস্ট ফ্যানের জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা
প্রয়োজন। ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
এমনকি ব্যবহূত পুরোনো টুথব্রাশগুলো দিয়েও ল্যাপটপের বাইরের অংশগুলো
পরিষ্কার করা যেতে পারে।
ল্যাপটপের ওপর ভারী কিছু না:
ভাঁজ
করে রাখা ল্যাপটপের ওপর, কি-বোর্ডের ওপর ভারী কিছু রাখা উচিত নয়। ল্যাপটপ
ভারী কিছু রাখার উপযোগী করে তৈরি করা হয় না। তাই ভারী বই বা অন্য কিছু
রাখা হলে ডিসপ্লে, কি-বোর্ড বা অন্যান্য যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে।
পর্দার প্রতি যত্নশীল:
কাজ
শেষে ল্যাপটপ বন্ধ করার পর মনিটরটির বা ডিসপ্লে পর্দাটি ভাঁজ করে রাখা
উচিত। আবার অনেক সময় সরাসরি পর্দা ভাঁজ করে স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা হয়
ল্যাপটপ। এ সময় যেন কি-বোর্ডের ওপর কোনো পেন্সিল, হেডফোন বা অন্য কিছু না
থাকে। এসব রেখে বন্ধ করে দেওয়া হলে ডিসপ্লের ক্ষতি হতে পারে।
দ্রুত তাপমাত্রা পরিবর্তন নয়:
হঠাৎ
করে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে বাইরের উষ্ণ তাপমাত্রায় স্থানান্তর বা
উষ্ণ স্থান থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত তাপমাত্রার স্থানে স্থানান্তর করা উচিত
নয়। দ্রুত তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে চলমান ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ও
প্রসেসর মানিয়ে নিতে পারে না। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে
ল্যাপটপ এবং এর অন্যান্য যন্ত্রাংশের।
বৈদ্যুতিক সংযোগ খুলে ফেলা:
ল্যাপটপ
চালু রেখে বৈদ্যুতিক সংযোগ (পাওয়ার কানেকশন) খুলে ফেলা উচিত নয়।
বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তারপর সংযোগ খোলা উচিত। আর বৈদ্যুতিক সংযোগটি
যদি আপনার পায়ের কাছাকাছি কোথাও থাকে, তাহলে কম্পিউটার ব্যবহার করার সময়
সতর্কতা অবলম্বন করুন।
ডিস্ক ড্রাইভার:
ডেস্কটপ
ডিস্ক ড্রাইভারগুলো থেকে ল্যাপটপের ডিস্ক ড্রাইভারগুলো আলাদা ধরনের হয়ে
থাকে। তাই সিডি/ডিভিডি ডিস্কগুলো ব্যবহার করার সময় বেশিসতর্ক থাকা
প্রয়োজন। সঠিকভাবে ব্যবহার না করা বা উল্টোভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে
ডিস্ক ড্রাইভারটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তার যেন পেঁচিয়ে না যায়:
ল্যাপটপের
বৈদ্যুতিক সংযোগ তারগুলো মেঝেতে ছড়িয়ে রাখা উচিত নয়। তারগুলো চেয়ারে
চাপা লেগে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই, এর পাশাপাশি ছড়িয়ে থাকা
তারগুলোতে আটকে ব্যবহারকারী নিজে অথবা অপর কেউ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
গাড়িতে ফেলে আসবেন না:
বদ্ধ
গাড়ি একটি উচ্চ তাপমাত্রার জায়গা। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে
ল্যাপটপটি সেখানে ফেলে রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া ল্যাপটপ বা ল্যাপটপের ব্যাগ
ছিনতাইকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে।
উপরের টিপসগুলো অনুসরন করলে আমি মনে
করি আপনার ল্যাপটপটি ভালো মতই চলবে কোন সমস্যা ছাড়া। আপনাদের কাজে আসলে
জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ভালো থাকবেন সবাই আর আপনাদের ল্যাপটপের বেশি বেশি
যত্ন নিবেন!! নইলে ওটা নিয়ে অল টাইম দৌড়ের উপর থাকতে হবে।